১৮৭০ সাল। ক্রোয়েশিয়ার এক স্কুলে ম্যাথ ক্লাস চলছে। আজকের টপিক ইন্টিগ্রেশন। বেশ কটা ক্লাসের পর আজকে কঠিন কঠিন ইন্টিগ্রেশন শুরু।
বোর্ডে কতগুলো অঙ্ক লিখে টিচার ফিরলেন সবাই অঙ্ক করছে কিনা দেখতে। সবাই মনোযোগ দিয়ে করছে। কিন্তু একজন বসেই আছে। স্যার তাঁর দিকে এগিয়ে গেলেন। “তুমি কেন করছ না?”
১৪ বছরের সেই ছেলেটা বোর্ডের সবগুলো অংকের উত্তর বলে গেল।
স্যার ভাবলেন ছেলেটা উত্তর হয়ত মুখস্থ করে এসেছে।
তিনি বানিয়ে কয়েকটা দিলেন। ছেলেটা এবারও সবগুলোর নির্ভুল উত্তর বলে দিল! একবারও খাতা কলম হাতে নিল না।
টিচার বুঝতে পারলেন, এই ছেলে ভয়ঙ্কর মেধাবী।
কিন্তু এই ভয়ঙ্কর মেধাবীকে আমরা ছোটবেলা থেকে চিনে আসি না। যতটা না চিনি নিউটন, আইন্সটাইন কিংবা থমাস আল্ভা এডিসনকে।
ছেলেটির নাম ছিল নিকোলা টেসলা।
এটাও আমরা অনেকে জানি না যে, আজকের IEEE-এর এক সময়ের ভাইস প্রেসিডেন্টও ছিলেন তিনি।
ইতিহাসের পাতায় অবহেলিত এক EEE Engineer টেসলা। এ লিখাটা তাঁকে নিয়েই। জেনে আসা যাক তাঁর জানা অজানা নানা দিক নিয়ে।
১৮৫৬ সালের ১০ জুলাই টেসলার জন্ম, ক্রোয়েশিয়ার এক গ্রামে। বাবা ছিলেন একজন ধর্মযাজক। নানাও ছিলেন তাই। ৫ ভাই বোনের মধ্যে ছিলেন চতুর্থ। বড় ভাই মারা গিয়েছিলেন ঘোড়া থেকে পড়ে গিয়ে।
তাঁর বাবার ইচ্ছে ছিল নিকোলা-ও বড় হয়ে যাজক হবে তাঁর মত। ছোট থেকেই তাকে সেটা নিয়ে চাপ দিতেন। কিন্তু নিকোলা সেটা চাইতেন না, একদমই না।
১৮৬১-তে প্রাইমারি স্কুলে ভর্তি হন নিকোলা, শেখেন জার্মান ভাষা, গণিত আর ধর্মতত্ত্ব।
১৮৭০ সালে হাই স্কুলে পড়ছিলেন তিনি, যখন সেই ইন্টিগ্রেশনের ঘটনাটা ঘটে। তখনই তাঁর আসল মেধাটা ধরা পড়ে।
চার বছরের পড়া তিন বছরেই শেষ করে গ্র্যাজুয়েট করে ফেললেন তিনি ১৮৭৩ এ।
সে বছরই ফিরে গেলেন নিজের গ্রামে। এসে কলেরার প্রকোপে পড়লেন। খুব ভয়ংকর অবস্থা। নয় মাস ছিলেন শয্যাশায়ী। কয়েকবার মৃত্যুর কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিলেন।
নিকোলার বাবা অসহায় হয়ে কথা দিলেন, সুস্থ হলে তাঁকে সবচেয়ে ভাল ইঞ্জিনিয়ারিং স্কুলে পড়তে পাঠাবেন। আর বলবেন না কখনো তাঁর ইচ্ছের বিরুদ্ধে যাজক হতে। টেসলা সুস্থ হয়ে উঠলেন এক সময়।
১৮৭৪ সালে নিকোলা আর্মিতে ভর্তি হওয়া থেকে বাঁচতে পালিয়ে গেলেন। পাহাড়ে পাহাড়ে ঘুরলেন। টেসলা পরে বলেছিলেন, প্রকৃতির সাথে এই নৈকট্যটা অনেক দরকার ছিল তাঁর। বসে বসে প্রখ্যাত সাহিত্যিক মার্ক টোয়েনের বই পড়তেন তিনি।
১৮৭৫ এ টেসলা ভর্তি হলেন অস্ট্রিয়ান পলিটেকনিকে। তাঁর স্বপ্ন…..
Click this link for full story : https://goo.gl/Ebyt3G